বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ‘ভাগ্য’ নির্ধারন আজ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে প্রার্থিতা ফিরে পেতে শুনানিতে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া। তারপরেই জানা যাবে নির্বাচন করতে পারবেন কিনা তিনি।
খালেদা জিয়া ছাড়াও শুনানিতে অংশ নেবেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও মির্জা আব্বাস। শনিবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) শুনানির পর তারা নির্বাচন করতে পারবে কিনা তা জানা যাবে।
৫৪৩টি আপিল আবেদনের মধ্যে বৃহস্পতি ও শুক্রবার মোট ৩১০টির শুনানি হয়েছে। শনিবার ২৩৩ আবেদনের শুনানি করবে হবে। এক্ষেত্রে ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনের বিএনপির প্রার্থী দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, টাঙ্গাইল-৪ ও ৮ আসনের প্রার্থী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, রংপুর-৩ আসনের প্রার্থী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে নিয়ে শুনানি করবে ইসি
এদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া, ও বিএনপির সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল আবেদন করেছেন। অন্যদিকে মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র বাতিলের জন্য আবেদন করেছে সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। আর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মনোনয়নপত্র বাতিলের আবেদন করেছেন সাব্বির আহম্মেদ নামে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের এক প্রার্থী।
গত দুই ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র মামলায় দুই বছরের অধিক সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে এবং কাদের সিদ্দিকীকে ঋণ খেলাপের কারণ দেখিয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। আর স্বতন্ত্র বা দলীয় প্রার্থী কোনো কিছুই উল্লেখ না করার কারণ দেখিয়ে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে ২ হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৭৮৬টি অবৈধ বলে ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এগুলোর মধ্যে বিএনপির ১৪১টি, আওয়ামী লীগের ৩টি এবং জাতীয় পার্টির ৩৮টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ৩৮৪টি। ৩৯টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে এবার ৩০৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। এর মধ্যে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা পড়ে মোট ২ হাজার ৫৬৭টি ও স্বতন্ত্র ৪৯৮টি।
দু’দিনে ৩১০টি আপিল আবেদনের শুনানিতে মোট ১৫৮ প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপির ৫৯ জন ও আওয়ামী লীগের দু’জন প্রার্থী প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ডিসেম্বর। প্রথম দিন বুধবার ১৬০ জনের শুনানিতে ৮০ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এরমধ্যে বিএনপির ৩৮ জন। ৭৬ জনের আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। ৪ জনের আবেদন স্থগিত রয়েছে। শনিবার শুনানি শেষ হবে।