ভোটের আগে সারাদেশে আওয়ামী লীগ ‘বিজয় মঞ্চ’
ভোটের প্রচার-প্রচারণার মধ্যে রাজধানীতে ‘বিজয় মঞ্চ’ উদ্বোধন করে সারাদেশে এমন মঞ্চ তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।
বিজয় দিবসে রোববার শাহবাগ মোড়ে বিজয় মঞ্চ উদ্বোধন করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, “এই বিজয় মঞ্চ ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। কাল থেকে সারাদেশে জেলা-উপজেলায় বিজয় মঞ্চ তৈরি করা হবে। যেখানে স্বাধীনতার পক্ষের সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, লেখক, কবি, শিল্পী, নাট্যকাররা কথা বলবেন। স্বাধীনতার কথা বলবেন, গান গাইবেন।”
‘আমার ভোট আমি দেব, স্বাধীনতার পক্ষে দেব’ স্লোগানকে সামনে রেখে বিজয় মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। স্বাধীনতাবিরোধী ও জঙ্গিদের মদদদাতাদের ভোট না দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, “আগামী নির্বাচন হবে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। ৭০’র মত নির্বাচন হবে এবারের নির্বাচন। ওই নির্বাচনে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি যেমনভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছে, তেমনি এবারের নির্বাচনেও ঐক্যবদ্ধ ভাবে ৩০ ডিসেম্বর আমরা বিজয় লাভ করবো।”
বিজয়ের মাসে নির্বাচনে ৩০ ডিসেম্বর ‘ফাইনাল’ জয় অর্জন করবে বলে আশাবাদী নাসিম।
“ওরা (বিএনপি) বলেছিল, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করবে না। এখন তাদের নাকে খত দিয়ে নির্বাচন করতে হচ্ছে। আমরা সেমিফাইনালে বিজয় পেয়েছি। ৩০ ডিসেম্বর ফাইনাল খেলা হবে…।”
স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় আসা প্রতিহত করার আহ্বানও জানিয়ে তিনি বলেন, “টানা ১০ বছর আমরা ক্ষমতায় ছিলাম, আমাদের ছোটখাটো ভুলত্রুটি আছে। ছোটখাটো ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দিবেন। ছোটখাটো ভুলের জন্য বড় ভুল করে স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় আনবেন না।”
বুদ্ধিজীবী দিবসে জামায়াত প্রসঙ্গে সাংবাদিকের প্রশ্নে উত্তেজিত হয়ে কামাল হোসেনের ‘খামোশ’ বলে ধমক দেওয়ার জবাব আগামী নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে জনগণ দেবে বলে মন্তব্য করেন নাসিম।
তিনি বলেন, “একাত্তরে স্বাধীনতাবিরোধী ছিলো, রাজাকার ছিলো। এই বিজয়ের মাসে লজ্জা হয়, ঘৃণা হয়; ড. কামাল হোসেন বঙ্গবন্ধুর স্নেহ পেয়েছিলেন। এমনকি বঙ্গবন্ধুর কল্যাণে মন্ত্রীও হয়েছিলেন। আজকে নতুন মীর জাফরের জন্ম হয়েছে, তিনি এখন রাজাকারদের পক্ষে কথা বলেন।”
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রামেন্দু মজুমদার, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণ আজাদী লীগের সভাপতি এস কে শিকদার, আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।