24.4 C
Dhaka
May 15, 2025
News

সেনাপ্রধান : বলেন ৪৭ বছরেও নির্বাচন কাল এত শান্ত দেখিনি

সেনাপ্রধান : বলেন ৪৭ বছরেও নির্বাচন কাল এত শান্ত দেখিনি

সেনাপ্রধান : বলেন ৪৭ বছরেও নির্বাচন কাল এত শান্ত দেখিনি

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, ‘সপ্তাহের ৫/৭ দিন যাবত সারাদেশ ঘুরে যতোটা অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে, বিগত ৪৭ বছরে এতো একটা শান্ত ও পিসফুল পরিবেশ দেখিনি। আমি ভোটারদের বলবো, আপনারা নির্ভয়ে ভোট দিতে যাবেন। আপনারা ভোটটা দেবেন। আমরা আশাপাশেই থাকবো।’ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর আজিমপুর কমিউনিটি সেন্টার ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আমি বিভিন্ন ডিভিশন ভিজিট করেছি। বিভিন্ন জেলায় গিয়েছিলাম। প্রত্যেকটি জায়গায় গিয়েছিলাম যেখানে উপস্থিত ছিলেন ডিভিশনাল কমিশনার, ডিআইজি এসপি, ডিসি, কোথাও কোথাও রিটার্নিং কর্মকর্তারা ছিলেন। বিজিবি-র্যাব কর্মকর্তারাও ছিলেন। সেনাবাহিনী সদস্যরা ছিলেন। তাদের সাথে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে তাদের সাথে কথা বলেছি।

আমি সেনাপ্রধান হিসেবে বলবো, চমৎকার পরিবেশ যেটা বিশেষ করে ঢাকার বাইরে দেখে এসেছি। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভিজিট করেছি। সেখানে অত্যন্ত চমৎকার পরিবেশ দেখেছি। সবাই আশ্বস্ত করেছে। যে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবার ইনশাল্লাহ নির্বাচন হবে। কোনো থ্রেট আছে কিনা তা সবার কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেছি। যাতে করে সেনাবাহিনী দিয়ে সেখানে যে ঝুঁকি বা বিপদের বা ভয়ের আশঙ্কা আছে তা কমিয়ে নিয়ে আসতে পারি। সবাই আশ্বস্ত করেছে। কিছু কিছু যেমন বর্ডারিং এলাকাগুলোর সম্পর্কে কথা বলেছেন। আমি সেনাবাহিনীর টহল সেই এলাকাগুলোতে বৃদ্ধির করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। যাতে ওই জায়গাগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

সেনাপ্রধান বলেন, সারাদেশে যেগুলো সংখ্যালঘু এরিয়া আছে, প্রত্যেকটি এরিয়াতে সেনাবাহিনী বিশেষ করে নিজেরা গিয়ে তাদের যেন আশ্বস্ত করে। তারা নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে যাতে আসতে পারে। যার যার ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারে সে আশ্বাস প্রদানের জন্য আমাদের সেনাবাহিনীর টহলগুলো ওই এলাকাগুলোতে যাচ্ছে। আজকেও যাবে। নির্বাচনের পরেও তাদেরকে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়। কারণ অতীতে অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যখনি নির্বাচনে যারা হেরে যায় তারা সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ করে। এ ব্যাপারে আমরা অনেক সতর্ক থাকবো।

সেনাপ্রধান হিসেবে বলবো, আমিও এই দেশের নাগরিক। তারপরেও আমি এই সপ্তাহের গত ৫/৭ দিন যাবত সারাদেশ ঘুরে যতোটা অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে, বিগত ৪৭ বছরে এতো একটা শান্ত ও পিসফুল পরিবেশ আমরা দেখিনি। নির্বাচনের আর মাত্র একদিন বাকি এমন সময়ে বিগত বছরগুলোতে কিছু না কিছু সহিংসতা ঘটেছে। এবারও যে একদম হয়নি তা না। কিন্তু তা এবার খুবই কম।

আমরা টিম ওয়ার্ক হিসেবে কাজ করছি। আর্মি, পুলিশ বিজিবি র্যা ব, প্রশাসন, আনসার সবাই একটা টিম হিসেবে একটা লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবো। আমরা কোনো ধরনের সংঘাত, কারো মধ্যে ভয়ভীতি দেখাবে এগুলো যাতে কেউ ঘটাতে না পারে আমরা অত্যন্ত সতর্ক থাকবো। আজ থেকে আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে। এতো দিন আমরা যেটা করেছি এখন থেকে আরও হবে। জনগণের মধ্যে যেন ভয়ভীতি তৈরি না হয়, সেই আস্থাটা দিতে পারি সেজন্য পেট্রলের সংখ্যা বাড়িয়ে দেবো। অন্যান্য সংখ্যার জিনিসও বাড়িযে দেবো। দিন শেষে আমরা যেটা চাই যে, সুন্দর একটা নির্বাচন সম্পন্ন হোক।

ভোটাররা যেন নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে আপনারা সেটাই করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছি বিশেষ করে ঢাকার বাইরের ভোটারদের। এলাকা ভাগ করে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছি, কোথাও পুলিশ, কোথাও র্যাব, কোথাও বিজিবি সেনাবাহিনী যাচ্ছে।

যেহেতু অনগ্রাউন্ড পুলিশের পরই সেনাবাহিনীর সংখ্যা আছে। সারাদেশে আমাদের ৫০ হাজারের উপরে সেনা সদস্য মোতায়েন আছে। তারা কনটিনিউয়াস টহল দিচ্ছে। প্রত্যেকটা ক্যান্টনমেন্টে পর্যাপ্ত সেনা সদস্যদেরকে স্ট্যান্ডবাই রেখেছি। আজকে থেকে বিভিন্ন জায়গায় যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে যেন স্বল্প সময়ে পাঠাতে পারি সেজন্য গতকাল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ভোটারদের উদ্দেশ্যে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমি জনগণের জন্য না, ভোটারদের জন্য বলবো, আপনারা নির্ভয়ে ভোট দিতে যাবেন। আপনারা ভোটটা দেবেন। আমরা আশাপাশেই থাকবো। শুধু আমরাই না, অন্যান্য ল ইনফোর্স এজেন্সির সাথে সমন্বয় করে আশেপাশেই থাকবো। নির্ভয়ে ভোট দিতে যাবেন। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করবো, কেউ কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে। আমরা নিরাপত্তা দিতে চেষ্টা করবো।

Related posts

পাহাড়ি ১১টি সম্প্রদায়ের উৎসব | The festival of 11 communities in the hill country |

Lutfur Mamun

১৪৪ ধারা জারি,কাশ্মিরে বনধে জনজীবন বিপর্যস্ত

Lutfur Mamun

আড়াই হাজার রোহিঙ্গা ফেরত নিল মিয়ানমার সরকার |Myanmar government has taken back the Rohingyas |

Lutfur Mamun

Leave a Comment