24.4 C
Dhaka
May 14, 2025
Bangladesh

গ্রামীণফোনের এসএমপি তকমা দিয়ে বিধিনিষেধ আরোপ নিয়ে প্রশ্ন

গ্রামীণফোনের এসএমপি তকমা দিয়ে বিধিনিষেধ আরোপ নিয়ে প্রশ্ন

গ্রামীণফোনের এসএমপি তকমা দিয়ে বিধিনিষেধ আরোপ নিয়ে প্রশ্ন

বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে গ্রামীণফোনের হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত বলেছেন, সাফল্যের বাধা হিসেবে নয়, এসএমপি নির্দেশনার উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ বাজারে প্রতিযোগিতা তৈরি।

টেলিযোগাযোগ ব্যবসায় একক আধিপত্য তৈরির অবস্থা যাতে তৈরি না হয়, তা নিশ্চিতে প্রবিধানমালা জারির পর তা সম্প্রতি কার্যকর করেছে বিটিআরসি।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিটিআরসি গ্রামীণফোনকে সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার (এসএমপি) ঘোষণা করে। ফলে নীতিমালা অনুযায়ী গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপন দেওয়াসহ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা সোমবার চিঠি দিয়ে তাদের জানানো হয়।

হোসেন সাদাতকে উদ্ধৃত করে গ্রামীণফোনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাজারে সত্যিকার অর্থে প্রতিযোগিতা তৈরির বদলে আরোপকৃত এ নির্দেশনা প্রতিষ্ঠানের কার্যকরী পরিচালনা ও সময়মতো বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করবে এবং উন্নত গ্রাহকসেবার বিপরীতেও বাধা তৈরি করবে।”

বিটিআরসির হিসাবে বাংলাদেশে চার অপারেটর মিলিয়ে এখন মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা ১৫ কোটি ৬৯ লাখ, যার প্রায় অর্ধেক সাত কোটি ২৭ লাখ গ্রামীণফোনের।

এই হিসাবে দেশের মোট গ্রাহকের ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ গ্রামীণফোনের; ৩০ শতাংশ গ্রাহক রবি, ২২ শতাংশ গ্রাহক বাংলালিংক এবং আড়াই শতাংশ গ্রাহক টেলিটক ব্যবহার করেন।

বার্ষিক রাজস্ব আয়ের দিক দিয়ে গ্রামীণফোন আরও এগিয়ে; ২০১৭ সালে বাজারের মোট রাজস্ব আয়ের ৫৩ শতাংশ পেয়েছে গ্রামীণফোন। এ দিক দিয়ে রবির বাজার হিস্যা ছিল ২৮ শতাংশ, বাংলালিংকের ১৮ শতাংশ।
প্রবিধানমালায় বলা হয়েছে, কোনো মোবাইল অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা, বার্ষিক রাজস্ব বা বরাদ্দ পাওয়া তরঙ্গের পরিমাণ বাজারের মোট হিস্যার ৪০ শতাংশের বেশি হলে তাকে ‘সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার (এসএমপি)’ ঘোষণা করা যাবে।

ওই কোম্পানি দানবীয় আকার নিয়ে যাতে বাজার গ্রাস বা প্রতিযোগিতার পথ রুদ্ধ করতে না পারে, সেজন্য বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে নীতিমালায়, যা প্রয়োগ করেছে বিটিআরসি।

এই ধরনের নীতিমালা প্রণয়ন নিয়েই প্রশ্ন তোলেন সাদত।

তার ভাষ্য, যেখানে বিদ্যমান আইন ও নীতিমালা সুষ্ঠু প্রতিযোগিতাকে প্রাধান্য দিয়েই তৈরি, সেখানে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরিতে আলাদা এসএমপি নীতিমালা ও নির্দেশনার প্রয়োজনহীন।

গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে কর্তৃত্বপূর্ণ অবস্থানের সুযোগ নেওয়া বা এর অপব্যবহার কিংবা অপ্রতিযোগিতামূলক আচরণের কোনো প্রমাণই নেই দাবি করে তারপরও বিধিষেধ আরোপ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাদত।

“একটি প্রতিষ্ঠানকে এসএমপি হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের বিপক্ষে বাজার আধিপত্যের অপব্যবহার কিংবা যৌথ আধিপত্যের সুযোগ নেওয়ার কোনো প্রমাণ ছাড়াই অযৌক্তিকভাবে নিয়ন্ত্রণ ও আসাঞ্জস্যমূলক নির্দেশনা আরোপ করা সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার নিয়মবিরুদ্ধ এবং সার্বিকভাবে গ্রাহকদের সেবা প্রদানে জন্য ক্ষতিকর।”

তিনি বলেন, “এসএমপির প্রাথমিক নির্দেশনা প্রতিযোগিতাকে উৎসাহিত করতে করা হয়নি, বরঞ্চ এটা অন্য অপারেটরদের সুবিধাদানে সহায়ক।”

Related posts

News headline in Bangla 28 Januray 2020 || আপনি দেখছেন বাংলা পত্রিকার সংবাদ শিরোনাম ||

Lutfur Mamun

ঘূর্ণিঝড়ের আগে করণীয়

Lutfur Mamun

করোনাভাইরাস আপডেট ও সর্বশেষ খবর || সোমবার, ২২ মার্চ ২০২১ ৮ চৈত্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ ||

Lutfur Mamun

Leave a Comment