বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আলু সমস্যার সমাধান খুঁজছে
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশে চাহিদার চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ টন বেশি আলু উৎপাদন হয়। এসব আলু বিদেশে রফতানি করা যায় না। তাই এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। উনি সংশ্লিষ্টদের নিয়ে করণীয় ঠিক করবেন।
শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হোটেল পূর্বাণী ইন্টারন্যাশনালে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের ৪৬তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. মোশাররফ হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ফার্স্ট ভাইস-প্রেসিডেন্ট ড. কামরুল হোসাইন চৌধুরী, ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইশতিয়াক আহমেদসহ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির ও সাধারণ সদস্যরা।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর দেশে প্রায় পাঁচ লাখ টন আলু বেশি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। দেশে উৎপাদিত আলুতে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় মালয়েশিয়া ছাড়া অন্য কোনো দেশে তেমন রফতানি করা যায় না। আবার দেশে ভাতের বিকল্প হিসেবে আলুর ব্যবহারও বাড়ছে না। তাই আলুর সামস্যা রাতারাতি সমাধান হবে এমনটি নয়।
‘আলুর উৎপাদন করে কৃষকরা যেমন ক্ষতির মুখে পড়ছে। তেমনি কোল্ড স্টোরেজের মালিকরা লোকশানে পড়বে। এ সমস্যা সমাধানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে ২৫ ফেব্রুয়ারি আগেই দায়িত্ব দেয়া হবে। উনি আলু ব্যবসায়ী ও কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গে বসে করণীয় ঠিক করবেন। তারপর বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর সমাধান বের করার চেষ্টা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আলুর মানের উন্নয়ন ঘটিয়ে রাশিয়াসহ অন্যান্য দেশে রফতানি করতে পারি তাহলে এ সমস্যার কিছুটা সমাধান হবে। এছাড়া আলু খাওয়া যে ভালো, স্বাস্থ্যকর এ বিষয়ে প্রচার চালতে হবে। দেশে আলু খওয়ার পরিমাণ বাড়লে চালের উপর চাপ কমবে।