বার্সার রক্ষা মেসির জোড়া গোলে
প্রথমার্ধে আট মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল খেয়ে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল বার্সেলোনা। দলকে পথে ফেরাতে স্বরূপে জ্বলে উঠলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন তারকার জোড়া গোলে ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে স্বস্তির ড্রয়ে মাঠ ছাড়ে কাতালান ক্লাবটি।
কাম্প নউয়ে শনিবার স্থানীয় সময় বিকালে লা লিগার ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়। গত অক্টোবরে ভালেন্সিয়ার মাঠ থেকে ১-১ ড্র করে ফিরেছিল বার্সেলোনা।
প্রতিপক্ষের মাঠে শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত ভালেন্সিয়া। ডি-বক্সে অরক্ষিত স্প্যানিশ মিডফিল্ডার দানিয়েল পারেহোর জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। কিন্তু বল চলে যায় দেনিস চেরিশেভের পায়ে। এই রুশ মিডফিল্ডারের কোনাকুনি শট দূরের পোস্টে লাগলে বেঁচে যায় বার্সেলোনা।
ষোড়শ মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। এক জনকে কাটিয়ে ফিলিপে কৌতিনিয়োর দূরপাল্লার জোরালো শট বাঁয়ে ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক নেতো।
২৪তম মিনিটে নিজেদের ডি-বক্সের সামনে মেসির পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে পাল্টা আক্রমণে উঠে গোল আদায় করে নেয় ভালেন্সিয়া। রদ্রিগোর পাস পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে বল ঠিকানায় পাঠান ফরাসি ফরোয়ার্ড কেভিন গামেইরো।
৩২তম মিনিটে বুলেট গতির স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পারেহো। ডেনমার্কের মিডফিল্ডার ড্যানিয়েল ভাসকে বার্সেলোনা ডিফেন্ডার সের্হিও রবের্তো ফাউল করলে পেনাল্টিটি পায় ভালেন্সিয়া।
সাত মিনিট পর পেনাল্টি শটে ব্যবধান কমান মেসি। ডি-বক্সে নেলসন সেমেদো ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। এ নিয়ে লিগে টানা আট ম্যাচে গোল করলেন মেসি।
বিরতির আগে দুই মিনিটের মধ্যে দারুণ দুটি সুযোগ নষ্ট হয় বার্সেলোনার। ৪৩তম মিনিটে রবের্তোর জোরালো শট পোস্টে বাধা পায়। এরপর ইভান রাকিতিচের উঁচু করে বাড়ানো বল ফাঁকায় পেয়েছিলেন মেসি। সামনে শুধু ছিলেন গোলরক্ষক; কিন্তু ভলিতে উড়িয়ে মেরে হতাশা করেন বার্সেলোনা অধিনায়ক।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকা বার্সেলোনা ৬৪তম মিনিটে মেসির নৈপুণ্যে সমতায় ফেরে। আর্তুরো ভিদালের ব্যাকহিলে বল পেয়ে অনেকটা দূর থেকে তার আচমকা নেওয়া বাঁকানো শটে পোস্ট ঘেঁষে বল জালে জড়ায়।
এই নিয়ে লিগে শেষ আট ম্যাচে মোট ১২টি গোল করলেন মেসি। আসরে তার মোট গোল হলো সর্বোচ্চ ২১টি।
বাকি সময়েও অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ ধরে রাখে শিরোপাধারীরা। কিন্তু পার্থক্য গড়ে দিতে পারেনি মেসি-সুয়ারেসরা।
২২ ম্যাচে ১৫ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৫০। ৬ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে এক ম্যাচ কম খেলা আতলেতিকো মাদ্রিদ। তৃতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৩৯।