বিএসটিআই ৪ হাজার পানির জার ধ্বংস করল
ভেজাল ও কারচুপির বিরুদ্ধে বিএসটিআইয়ের চলমান অভিযানে মঙ্গলবার রাজধানীতে চার হাজার অস্বাস্থ্যকর পানির জার ধ্বংস করা হয়েছে।
এছাড়া পরিমাপে কারচুপি ও বিএসটিআইএয়ের লোগো জালিয়াতির দায়ে সাতটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বিএসটিআইএর প্রকাশনা বিভাগের সম্পাদক মঈনুদ্দিন মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, চলমান ভেজালবিরোধী অভিযানের অংশ হিসাবে মঙ্গলবার ভোররাত থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যায় অভিযান চালানো হয়।
এ সময় রমনা, ফকিরেরপুল, বঙ্গবাজার, মতিঝিল, কাপ্তানবাজার, নবাবপুর, ইংলিশ রোড, বাবুবাজার ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় এবং কেরানীগঞ্জের কদমতলী ও শহীদনগর এলাকায় প্রায় চার হাজার পানির জার ধ্বংস করা হয়।
এসব জার একদিকে যেমন অস্বাস্থ্যকর তেমনি বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই বিপণন করছিল বলে জানান তিনি।
চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই দিন, রবি ও সোমবার রাজধানীর মিরপুর, শ্যামলী ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের আশপাশের এলাকা থেকে প্রায় ছয় হাজার ভেজাল পানির জার উদ্ধার করে তা ধ্বংস করে বিএসটিআই। অবৈধ পানির কারখানার পাশাপাশি ফুটপাতের অস্থায়ী দোকান ও হোটেল রেস্তোরাঁতেও হানা দিয়েছিলেন অভিযানকারীরা।
প্রতিষ্ঠানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভিযানে বিএসটিআইর লাইসেন্স না নিয়ে অবৈধভাবে মানচিহ্ন ব্যবহার করে ঢেউটিন উৎপাদন এবং বিক্রির অপরাধে কেরানীগঞ্জের ‘বিকাশ কাটিং অ্যান্ড করোগেটেড ইন্ডাস্ট্রিজ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
কারচুপির দায়ে ৭ মামলা
এদিনের অভিযানে ওজন ও পরিমাপে কারচুপির অপরাধে সাতটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা।
পরিমাপে গজকাঠি ব্যবহার করায় রাজধানীর কাজীপাড়ায় পর্দার দোকান ‘মেসার্স কাসারিকা ফার্নিসিংয়ের’ এবং ‘মেসার্স ডি গ্যালারি’র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
একই এলাকার মেসার্স মোহাম্মদ ডি ফল ভান্ডার, মেসার্স বনফুল অ্যান্ড কোম্পানি ও মিরপুর-২ এর বড়বাগ বাজার এলাকার মেসার্স হক বেকারি অ্যান্ড সুইটস পণ্যের প্যাকেটে ওজন, মূল্য উল্লেখ না করায় তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়।
মিরপুর-১০ নম্বর এলাকার মেসার্স জনতা ফুড স্টোর ও মেসার্স সাহাদাৎ হোসেনের ফলের দোকানে ব্যবহৃত ডিজিটাল স্কেলের বিএসটিআইয়ের ভেরিফিকেশন সনদ না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে একই আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকা জরমিানা আদায়
এদিকে একই দিন ঢাকাসহ দেশের ৩০টি জেলায় অভিযান চালিয়ে ভোক্তা স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন অপরাধের দায়ে ১০৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোট ৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য ও ওষুধ বিক্রি, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রি বা সরবরাহ না করা, পরিমাপে কারচুপি, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের প্রতারিত করা ও ওজনে কারচুপির অপরাধে এসব জরিমানা করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় সংস্থাটি।