র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন পরিণতি হবে ভয়াবহ গুজব শেয়ার দিলে
বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে করার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে র্যাব। বিষয়টি জানিয়ে র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, ইউনিফর্ম পরিহিত পোশাকের চেয়ে দ্বিগুণ থাকবে সাদা পোশাক পরিহিত র্যাব সদস্য। এছাড়া প্রতিটি খিত্তায় সিসি টিভি ক্যামেরা থাকবে। পাশাপাশি হেলিকপ্টার, নদীতে বোট, রাস্তায় জিপ এবং মোরসাইকেলে টহল দেবে র্যাব।
আজ (বৃহস্পতিবার) বিএসইসি ভবনে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা-২০১৯ উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ গুজব ছড়ালে তাৎক্ষণিক কেউ বিশ্বাস করে শেয়ার দেবেন না। না জেনে না শুনে এবং চেক না করে গুজব শেয়ার দিলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।
তিনি বলেন, এক বছর ধরে বিভেদ এবং মতভেদ থাকার কারণে এবারের বিশ্ব ইজতেমায় চ্যালেঞ্জ একটু বেশি। এ কারণে এবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বেশি সতর্কাবস্থায় থাকবে।
তাবলিগের মুরুব্বি ও মুসল্লিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বেনজীর আহমেদ বলেন, আপনারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য এখানে উপস্থিত হবেন। কোনো প্রকার অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা যেন না ঘটে। এজন্য আপনাদেরও দায় রয়েছে। কোনো অসুবিধা হলে আপনারা আমাদের কাছে বলবেন। আমরা সব ব্যবস্থা নেব। দেশি লোকের পাশাপাশি বিদেশি মেহমান থাকবেন। তারা অনেকে হাজার হাজার মাইল দূর থেকে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আসেন। সেই বিদেশি মেহমানরা যেন ভালোভাবে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে পারেন তার জন্য নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
র্যাব মহাপরিচালক আরও বলেন, তৃতীয় পক্ষ যেন কোনো সুযোগ না নিতে পারে, কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য মুরুব্বিরাসহ আয়োজকদেরও সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিবারের মতো এবারও আমাদের সাধ্য অনুযায়ী মুসল্লিদের মধ্যে বিনা পয়সায় পানি ও ওষুধ সরবরাহ করা হবে।
এর আগে বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তার ওপর একটি ভিডিও উপস্থাপনা করা হয় প্রেস ব্রিফিংয়ে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর উপকণ্ঠে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে ১৫ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি চার দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমার প্রথম দুদিন অর্থাৎ ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি তাবলিগের মুরুব্বি মাওলানা মো. যুবায়েরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। পরবর্তী দুদিন ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার কার্যক্রম পরিচালিত হবে সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে।