24.4 C
Dhaka
December 22, 2024
Health

কেন হয় কিডনি রোগ

কেন হয় কিডনি রোগ

কেন হয় কিডনি রোগ
কেন হয় কিডনি রোগ

আমাদেরশরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটি অসুস্থ থাকলেও আপনার মন ও শরীর অসুস্থ থাকে। আমাদের অনেকেই কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। তবে বুঝতে পারছেন না। কিডনির সমস্যা প্রথম দিকে বোঝা যায় না। তবে যখন সমস্যা প্রকোট হয় তখন আপনার নানাবিধ শরীরিক সমস্যা দেখা দেয়।

অনেকের কিডনি নষ্ট হয়ে গেলে নতুন করে কিডনি প্রতিস্থাপন করে থাকে।কিডনি প্রতিস্থাপন ও চিকিৎসা সবই কষ্টদায়ক।তাই যে কোনো রোগ থেকে বাঁচার সহজ উপায় হচ্ছে রোগ সম্পর্কে জানা ও সচেতন থাকা। রোগা ক্রান্ত হওয়ার চেয়ে রোগ প্রতিরোধ উত্তম বলে জানান চিকিৎসকেরা। আসুন জেনে নেই কিডনি রোগ কেন হয়। এছাড়া এই রোগ নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসা কি?

কিডনি রোগের লক্ষণ

১. অতি দ্রুত হাঁপিয়ে যাওয়া।

২. কোনোকাজেমনোনিবেশকরতেনাপারা

৩. খাবারে অরুচি হওয়া।

৪. ঘুমেরসমস্যা হওয়া।

৫. রাতেবেশিবেশিপ্রস্রাবওমাংসপেশিতেটানলাগা

৬. মুখওঅস্থিরসংযোগস্থলফুলেযাওয়া।

৭. অনিয়ন্ত্রিতউচ্চরক্তচাপ।

৮. শরীরেপানিআসাপ্রভৃতি।
কিডনি রোগের জন্য সুনির্দিষ্ট কারণ বলা বেশ কঠিন। তবে কিডনি রোগের কিছু কারণ রয়েছে।যেসব কারণে কিডনি রোগেরআশংকা বাড়ে।আসুন জেনে নেই কিডনি রোগ কেন হয়?

কিডনি রোগ কেন হয়?

১. বারবারমূত্রনালিরসংক্রমণ।

২. কিডনিতেপ্রদাহ হলে।

৩. জন্মগতসমস্যা থাকলে।

৩. বিভিন্নধরনেরওষুধেরবা কেমিক্যালেরপার্শপ্রতিক্রিয়া হলে।

৪. শরীরেররোগপ্রতিরোধকারীব্যবস্থায়সমস্যা হলে।

৫. অনিয়ন্ত্রিতবা অকর্মণ্যজীবনযাপন।

৬. ধূমপানবা এলকোহলসেবন করলে।

৭. ডায়াবেটিসও উচ্চরক্তচাপের সমস্যা থাকলে কিডনি রোগ হতে পারে।

কিডনি রোগের চিকিৎসা

অ্যান্টিবায়োটিক : ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে ব্যাকটেরিয়ার ধরন নির্ণয়ে রক্ত/প্রস্রাব কালচার করার প্রয়োজন হয়।

নেফ্রোস্টোমি : এ বিশেষ পদ্ধতিতে চামড়ার নিচ দিয়ে একটি ক্যাথেটার কিডনিতে পৌঁছানো হয় যার মাধ্যমে বিকল্প পথে প্রস্রাব বের হয়ে আসতে পারে।

লিথোট্রিপসি : উচ্চপ্রযুক্তির আল্ট্রাসনিক শক ব্যবহার করে কিডনির পাথরকে ছোট করে বিশেষ ব্যবস্থায় বের করে আনার চিকিৎসা পদ্ধতিকে লিথোট্রিপসি বলে।

নেফ্রেকটোমি : শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে কিডনি অপসারণকে নেফ্রেকটোমি বলে। কিডনিতে ক্যান্সার/টিউমার হলে বা কোনো কিডনি পুরোপুরি বিকল হয়ে সমস্যার সৃষ্টি করলে নেফ্রেকটোমি করা হয়ে থাকে।

ডায়ালাইসিস : কৃত্রিম যন্ত্রের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময় পরপর রক্ত পরিশোধন ব্যবস্থার নাম ডায়ালাইসিস। ডায়ালাইসিস বিভিন্ন রকমের হতে পারে যেমন- হেমোডায়ালাইসিস, পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস প্রভৃতি। এটি বেশ ব্যয় বহুল চিকিৎসা পদ্ধতি।

কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট : অকেজো কিডনি পরিবর্তন করে কোনো দাতার কিডনি সংযোজনকে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট বলে। কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট ব্যয় বহুল এবং এটি করার পর বাকি জীবন নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ খেয়ে যেতে হয়।

Related posts

পাকা চুল কালো করবে সরিষার তেলের উপকারিতা

Lutfur Mamun

তৈরি করুন ঘরেই টুথপেস্ট

Lutfur Mamun

কত গুণ বাঙ্গির

Lutfur Mamun

Leave a Comment