বঙ্গভবনে বিজয় দিবসে মিলনমেলা
দেশের নানা শ্রেণি-পেশার লোকদের নিয়ে মহান বিজয়ে দিবসের ৪৭ বছর উদযাপন করলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিক, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতিক, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সমাজের নানা পেশার মানুষেরা কেক কেটে, গান শুনে বিজয় দিবস উদযাপন করেছেন।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিজয় দিবসে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। অতিথিদের স্বাগত জানান তিনি ও তার স্ত্রী রাশিদা খানম। রোববার বিকেলের মৃদু আলোয় স্ত্রীকে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল বঙ্গভবনের মাঠে যান রাষ্ট্রপতি। এরপর সেখানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় উদযাপনের মূল আনুষ্ঠানিকতা। পরে বেলুন উড়িয়ে ‘বিজয় উৎসব’এর সূচনা করা হয়। যা এবারই প্রথমবারের মতো হলো। অনুষ্ঠানে শিল্পী রফিকুল আলম, ফাহমিদা নবী, বাপ্পা মজুমদার, মেহরীন, মুনিরা বাউল গান গেয়ে শোনান। এ ছাড়া শিশু একাডেমির শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করে।
এ সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এবারও কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতি ছিল বঙ্গভবনের সবুজ গালিচায় । বরেণ্য শিল্পীদের দেশাত্মবোধক ও লোকগান, শিশুশিল্পী আর সশস্ত্র বাহিনীর বাদক দলের সংগীতের মূর্চ্ছনা এ আয়োজনের স্বাতন্ত্র এনে দিয়েছিল। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন। তারা ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল ও মালদ্বীপের ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের সদস্যদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন।
পরে তারা মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিদেশি অতিথি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধানসহ সমারিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বঙ্গভবনের এ অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জোটশরিক যুক্তফ্রন্টের নেতা একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীও অংশ নেন এ অনুষ্ঠানে। ছিলেন বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী জাফরুল্লাহ চৌধুরীও।
ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিন ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত জর্জ কোচেরি, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার অ্যালিসন ব্লেইক, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পোসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।