কাদের সিদ্দিকী ,জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ কখনো জয়ী হতে পারবে না
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, জনগণের সত্যিকার ভোটে আওয়ামী লীগ কখনো জয়ী হতে পারবে না। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে দলের এক বর্ধিত সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ভবিষ্যৎতে এমন কোনো দিন আর আসবে না, যে জনগণের সত্যিকার ভোটে আওয়ামী লীগ কখনো জয়ী হতে পারবে। এ রকম দিন আর আওয়ামী লীগ কখনই খুঁজে পাবে না। হতে পারে ডাকাতি, জোরজুলুম করে তারা নির্বাচন করতে পারে। কিন্তু মানুষের ভোটে কোনোদিন নির্বাচন করতে পারবে না। আমি সরকারকে বলব অনতিবিলম্বে এই নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আর কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। দলীয় সরকারের অধীনেও কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।
মুক্তিযুদ্ধের এই অন্যতম সংগঠক বলেন, আমরা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে প্রার্থীদের মামলা করার পক্ষে না। কারণ নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ তাদের (সরকারের) আজ্ঞাবহ হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। তাই ট্রাইব্যুনালে হয়তো তারা বসেই আছে মামলা যথাযথভাবে উপস্থাপন হয় নাই, এই বলে খারিজ করে দেবে। এজন্য মামলা করার পক্ষে নই আমরা।
সুলতান মোহাম্মাদ মনসুরের সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়া প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, তাঁকে নিয়ে খুব আলোচনা হচ্ছে। এখানে তাঁর শপথ নেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। তিনি ভাবতে পারেন যে শপথ নিতে পারেন। কিন্তু জনগণ ভাবতে পারেন না তারা নির্বাচিত ও শপথ নিতে পারেন। জনগণ ৩০ ডিসেম্বর ভোট দিতে পারে নাই, ওই দিন কোনো ভোট হয় নাই। সেজন্য সেই নির্বাচনে কোনো প্রার্থী নির্বাচিত হয় নাই। তাই তাদের শপথ নেওয়ার কোনো কথা আসে না। ‘আজকে যারা শপথ নিতে চাচ্ছে পাবলিক তাদের রাস্তায় ধরে টুকরো টুকরো করে ফেলতেও পারে, জনগণের বিপক্ষে গেলে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে এই বীর উত্তম বলেন, আমরা বুঝি না যে বিএনপির সদস্যরা সংসদে যাবেন কি যাবেন না তা নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মাথা ব্যথা কেন। আমরা বুঝি না অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর কেন মাথা ব্যথা হবে বিএনপি যদি সংসদে না যায়। এ কথা তাঁকে কেন বলতে হবে।