এফডিসি চোখের জলে টেলি সামাদকে বিদায় দিলো
ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা টেলি সামাদ না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ৬ এপ্রিল। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শনিবার বেলা ১টা ৩০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তার মৃত্যুতে চলচ্চিত্র অঙ্গনে পড়েছে শোকের ছায়া।
রোববার, ৭ এপ্রিল সকাল ১১টায় শেষবারের মতো এফডিসিতে আসেন টেলি সামাদ, তবে লাশ হয়ে লাশবাহী গাড়িতে চড়ে। নিজের প্রিয় কর্মস্থলে আজ সাজানো হলো তার শেষ বিদায়ের মঞ্চ।
দীর্ঘদিনের প্রিয় সহকর্মীরা এলেন তাকে শেষ বিদায় জানাতে। এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাব এর সামনে দুপুর সাড়ে ১২টায় তার চতুর্থ জানাজায় অংশ নেন তারা।
এ সময় জানাজায় উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, তথ্য সচিব আব্দুল মালেক, এমপি ও চিত্রনায়ক আকবর পাঠান ফারুক, আলমগীর, জায়েদ খান, মুশফিকুর রহমান গুলজার, অমিত হাসান, সম্রাট, আলীরাজ, ফকির আলমগীর প্রমুখ।
নামাজ শেষে ভারী হয়ে উঠে এফডিসির চত্বর। টেলি সামাদকে বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ। কিন্তু ভেতরে ভেতরে চাপা কান্না জমে আছে সবার। আর কখনো দেখা হবে না, আর কখনো হবে না কোনো কথা। কোনোদিন নতুন কোনো কৌতুকে এফডিসি কিংবা সিনেমার পর্দা মাতাবেন না ‘প্রিয় টেলি’।
অনুভূতি জানাতে গিয়ে অশ্রু মুছলেন নায়ক ফারুক, আলমগীর, জায়েদ খান, অমিত হাসানেরা। নয়ন ভরা জলে টেলি সামাদকে শেষ দেখা দেখতে হাজির হয়েছিলেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনাসহ বেশ ক’জন নারী শিল্পী ও কলাকুশলী।
এ ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি এফডিসিতে। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের চলচ্চিত্রকর্মীদের বলা চলে কাউকেই দেখা যায়নি গুণী এই শিল্পীর শেষ বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতায়।
এদিকে জানাজা শেষে টেলি সামাদকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মুন্সিগঞ্জে। সেখানে নিজ গ্রাম নয়াগাঁওতে পারিবারিক গোরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন তিনি।
এর আগে গতকাল বাদ মাগরিব পশ্চিম রাজারবাজার মসজিদে টেলি সামাদের জানাজা হওয়ার কথা থাকলেও টেলি সামাদের দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে বাদ মাগরিব ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বাদ এশা পশ্চিম রাজারবাজার মসজিদ এবং রাত সাড়ে দশটায় মগবাজারের দিলু রোডে তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়।