ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে পর্যটকদের মাইকিং করে সরিয়ে আনা হচ্ছে
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পানিতে পর্যটকদের না নামতে সতর্ক করা হচ্ছে। যেসব পর্যটক সতর্কতা উপেক্ষা করে সাগরে গোসল করতে নামছেন তাদের মাইকিং করে সাগর থেকে তুলে আনা হয়েছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুহ রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেছে। ফলে পর্যটকদের সাগরে গোসল করতে নিষেধ করা হচ্ছে। যেসব পর্যটক সাগরে গোসল করতে নামছেন সন্ধ্যার আগে তাদের মাইকিং করে নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
এদিকে, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ৬টায় ফণী বাংলাদেশে আঘাত আনতে পারে।