উপযুক্ত জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ৪ উপায়
উপযুক্ত জীবনসঙ্গী হিসেকে কাকে নির্বাচিত করবেন, এ নিয়ে তরুণ প্রজন্মের বহু মানুষই গলদঘর্ম হন। এ লেখায় দেওয়া হলো চারটি লক্ষণ। এ লক্ষণ দেখে নির্ণয় করুন আপনার উপযুক্ত জীবনসঙ্গী। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. একে অন্যের বৈশিষ্ট্যের প্রতি অনুরক্ত
এটি অনেকটা ‘বিপরীত আকর্ষণ’-এর মতো। দুজন মানুষের শখ কিংবা অন্যান্য বিষয় যে হুবহু মিল হবে এমনটা চিন্তা করা উচিত নয়। কিন্তু একে অন্যের প্রতি মূল্য দেওয়া এবং একে অন্যের নানা বৈশিষ্ট্যের প্রতি অনুরক্ত হওয়া হতে পারে একটি বড় বিষয়। আপনি যদি কারো নানা বৈশিষ্ট্যের প্রতি অনুরক্ত হন এবং সে ব্যক্তি যদি আপনার নানা বৈশিষ্ট্যের প্রতি অনুরক্ত হয় তাহলে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে উভয়ের মাঝেই থাকতে পারে কোনো বিষয়ে মাত্রাতিরিক্ত আগ্রহ কিংবা শখ। এ বিষয়টিতে যদি অন্যজন অনুরক্ত হয় তাহলে তা সত্যিই সম্পর্ক গড়তে বড় ধরনের সুবিধা দেয়।
২. আপনার সঙ্গী যখন উষ্ণ, বিশ্বাসী ও নির্ভরযোগ্য
প্রত্যেকেরই জীবনসঙ্গী কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে একটি সাধারণ ধারণা থাকে। এতে অনেকেই উচ্চ স্ট্যাটাস, অর্থ ও ধনী পরিবার থেকে আসা ব্যক্তিদের গুরুত্ব দেয়। অন্যদিকে কিছু মানুষ রয়েছে যারা উষ্ণ, বিশ্বাসী ও নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিকে সঙ্গী হিসেবে পছন্দ করে। এক্ষেত্রে আপনার সঙ্গী যদি উষ্ণ, বিশ্বাসী ও নির্ভরযোগ্য হয় তাহলে তিনি যথাযথ জীবনসঙ্গী বলে ধরে নেওয়া যায়। এ ছাড়া আবেগগতভাবে নির্ভরযোগ্যতা একটি বড় বিষয়।
৩. একই ধরনের মূল্যবোধ
গবেষকরা জানাচ্ছেন, ভালোবাসা কখনোই বৈষয়িক হয় না। এমনকি স্বল্পপরিচিত মানুষের সঙ্গেও ভালোভাবে সম্পর্ক গড়া যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে দুজনের মূল্যবোধ একই ধরনের হওয়া চাই।
মূল্যবোধ সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দুজনের মূল্যবোধ যদি ভিন্ন ধরনের হয় তাহলে তা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে বড় সমস্যা সৃষ্টি করে। এ কারণে বহু ব্যক্তিকেই দেখা যায় সম্পর্ক গড়ার জন্য নিজের পরিবারের সঙ্গে মিলে যায় এমন পরিবারের ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে। এটি আধুনিক সময়ে অনেকে উপেক্ষা করলেও স্থায়ী সম্পর্ক গড়তে তা যথেষ্ট কার্যকর। কারণ একই ধরনের পরিবার থেকে আসলে মূল্যবোধ একই ধরনের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৪. সঙ্গীর দৃষ্টিভঙ্গি
সুস্থ সম্পর্কের ক্ষেত্রে একে অন্যের কাছাকাছি থাকলে ভালো অনুভূতি হবে। সাধারণত রোমান্টিক সম্পর্কে জড়িতদের মাঝে নিজের তুলনায় অন্যজন কিছুটা বেশি আকর্ষণীয় বলে মনে করবেন। অর্থাৎ আপনি যদি নিজেকে আকর্ষণীয়তার মানদণ্ডে ১০-এ ৬ দেন তাহলে আপনার সঙ্গী আপনাকে ১০-এ ৭ দেবে। এছাড়া আপনি যাকে আকর্ষণীয় মনে করবেন তিনি যেমন আপনার সঙ্গী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ তেমনি আপনাকে যিনি আকর্ষণীয় বলে মনে করবেন তিনিও গুরুত্বপূর্ণ। এটি দীর্ঘস্থায়ী সুস্থ সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।