নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে শমী কায়সারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
সাংবাদিকদের সঙ্গে অভিনেত্রী এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রেসিডেন্ট শমী কায়সারের ‘নিকৃষ্ট দুর্ব্যবহারের’ নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটির (ডিআরইউ) নেতৃবৃন্দ। আজ বৃহস্পতিবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই নিন্দা প্রকাশ করা হয়।ডিআরইউ’র কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি ইলিয়াস হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান ওই বিবৃতিতে বলেন, ‘একজন শহীদ সাংবাদিকের মেয়ে হয়ে পিতার পেশার উত্তরসূরিদের “চোর” বলে সম্বোধন করে শমী কায়সার প্রকারান্তরে তার পিতাকেই অসম্মান করেছেন। তার মতো একজন অভিনেত্রী ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ অত্যন্ত গর্হিত ও নিন্দনীয়।’
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এ ধরনের ব্যবহারের জন্য সাংবাদিক সমাজের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে শমী কায়সারকে সাংবাদিক সমাজ বয়কট করবে।এছাড়া এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়।
বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ডিইউজে সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘একজন শহীদ সাংবাদিকের মেয়ে হয়ে পিতার পেশার উত্তরসূরিদের “চোর” বলে সম্বোধন করে শমী কায়সার প্রকারান্তরে তার পিতাকেই নিকৃষ্টভাবে অসম্মান করেছেন। শুধু তাই নয়, একজন সেলিব্রেটি হিসেবে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে “মোবাইল ফোন হারানোর” সূত্র ধরে যে আচরণ করেছেন তা সেলিব্রেটিদের প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তার মতো একজন অভিনেত্রী ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ অত্যন্ত গর্হিত ও নিন্দনীয়।বিবৃতিতে বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতারা এ ধরনের দুর্ব্যবহারের জন্য সাংবাদিক সমাজের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘নতুবা যত বড় সেলিব্রেটিই হোন না কেন তার সংবাদ বর্জন করা হবে। প্রয়োজন হলে তার সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিয়ে সাংবাদিক সমাজ নিয়মিত সংবাদ পরিবেশন করে জাতিকে বিস্তারিত জানাতে বাধ্য হবে।’
এর আগে গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে চুরি হয় ই-কমার্স শমী কায়সারের দুটি স্মার্টফোন। এ সময় সাংবাদিকরা মোবাইল চুরি করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। শুধু তাই নয় তার নিরাপত্তাকর্মীদের দিয়ে সংবাদকর্মীদের দেহ তল্লাশি করান।এ সময় কেউ কেউ বের হতে চাইলে তাদের ‘চোর’ বলে ওঠেন শমী কায়সারের নিরাপত্তাকর্মীরা। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন সংবাদকর্মীরা। ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানস্থলে।
পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে কেক নিয়ে আসা আলোকসজ্জার এক কর্মী স্মার্টফোন দুটি নিয়ে গেছেন। ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ দেখার পর সাংবাদিকদের প্রতি ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেন শমী কায়সার।