বিজিএমইএর প্রথম নারী সভাপতি রুবানা
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতির দায়িত্ব পেলেন রুবানা হক; সংগঠনটির শীর্ষ পদে তিনিই প্রথম নারী।বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদের এবারের নির্বাচনে মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা নেতৃত্বাধীন প্যানেলের জয়ে তার সভাপতি হওয়াটা নিশ্চিতই ছিল।
বৃহস্পতিবার নতুন এই নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশন পরিচালনা পর্ষদের পদগুলোতে নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন বলে বিজিএমইএর এক সংবাদ বিজপ্তিতে জানানো হয়।
নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সচিব অবসরপ্রাপ্ত মেজর রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পদের সংখ্যা ও মনোনয়নের সংখ্যা সমান হওয়ায় তাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। অচিরেই নির্বাচন বোর্ড বিজিএমইএর ২০১৯-২০২১ মেয়াদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবে।”
সিদ্দিকুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত রুবানার স্বামী প্রয়াত আনিসুল হকও বিজিএমএইর সভাপতি ছিলেন। এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি আনিস ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রও নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রুবানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পোশাক খাতের উন্নয়নে তিনি ও তার পর্ষদ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাবেন।
নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে গঠিত এই পরিচালনা পর্ষদ দক্ষতার সঙ্গে পোশাক শিল্পের জন্য কাজ করতে পারবে বলে তার আশা।
সভাপতি রুবানার সঙ্গে নতুন পরিচালনা পর্ষদে প্রথম সহসভাপতি থাকছেন মোহাম্মদ আবদুস সালাম, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হয়েছেন ফয়সাল সামাদ।
সহসভাপতি হয়েছেন এস এম. মান্নান কচি, এম.এ রহিম ফিরোজ, আরশাদ জামাল দিপু, মশিউল আজম সজল, ও এ.এম চৌধুরী সেলিম।
চার বছর বাদে গত ৬ এপ্রিল বিজিএমইএর দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়।
এই নির্বাচনে এই খাতের ব্যবসায়ীদের পুরনো দুটি পক্ষ ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদ জোট বেঁধে একটি প্যানেল দেয়। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ডিএসএল গ্রুপের এমডি জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা নতুন গ্রুপ স্বাধীনতা পরিষদ।
নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে জয় পায় ফোরাম ও পরিষদের প্যানেল। রুবানা পান ১ হাজার ২৮০ ভোট। সমিতির ৩৫ জন পরিচালক নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ হাজার ৯৫৬ জন, তার মধ্যে ১ হাজার ৪৯২ জন ভোট দেন।