যৌন হয়রানি : কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল পরিচালকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু
একজন সিনিয়র নার্সকে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে রাজধানীর উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের পরিচালক আমিরুল হাসানের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
আনুষ্ঠানিকভাবে এ কমিটি গঠিত না হলেও কমিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে সচিবের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তকে পরিচালকের পদ থেকে অপসারণ এমনকি তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, পরিচালক পদমর্যাদার একজন প্রবীণ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তার প্রতিষ্ঠানের একজন সিনিয়র নার্সের শ্রীলতাহানির অভিযোগে শীর্ষ কর্মকর্তারা বিব্রত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ফেনীতে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর স্বাস্থ্যখাতের একজন পরিচালকের বিরুদ্ধে একজন নার্সের অভিযোগের বিষয়টি তারা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, উত্তরা কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের পরিচালক আমিরুল হাসানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ছাড়াও ওই হাসপাতালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনবল নিয়োগসহ আর্থিক নয়-ছয়ের অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে তদন্ত কর্মকর্তারা।
এদিকে পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী সিনিয়র নার্স জাগো নিউজকে বলেন, পরিচালকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও নার্সিং অধিদফতরে অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। হাসপাতাল পরিচালক নানা অজুহাতে বিভিন্ন কারণে কারণদর্শানোর নোটিশ দিচ্ছেন। তার পালিত একটি গ্রুপ বাড়াবাড়ি করলে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
ওই নার্স জানান, হাসপাতাল পরিচালক তার বাবার বয়সী হলেও নানা প্রলোভনে হুমকি-ধমকি দিয়ে শয্যাসঙ্গী করতে চেয়েছিলেন। দিনের পর দিন মানসিক যন্ত্রণা দেন। নোংরা কথাবার্তা শুনে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন কিন্তু স্বামী আর সন্তানদের কথা ভেবে তো করেননি।