জনসনের বেবি শ্যাম্পুতে ‘ক্ষতিকর উপাদান’
ভারতের রাজস্থানে জনসন অ্যান্ড জনসনস কোম্পানির বেবি শ্যাম্পু গুণগত মানের পরীক্ষায় উৎরাতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজ্যের ড্রাগস কন্ট্রোল বিভাগ থেকে সরকারি নোটিস জারি করে শ্যাম্পুতে ‘ক্ষতিকর উপাদান’ পাওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
এর আগে বেবি পাউডারে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের আদালত জনসন অ্যান্ড জনসনস কোম্পানিকে ৪৭০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিলে বিশ্ব জুড়ে উদ্বেগ দেখা দেয়।
বিভিন্ন দেশের সরকার যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক এ বহুজাতিক কোম্পানির তৈরি সাবান, শ্যাম্পু, লোশন ও পাউডারসহ বিভিন্ন পণ্য পরীক্ষা শুরু করে। ভারতে কোম্পানিটির নিজস্ব কারখানা আছে। গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ভারত সরকার পরীক্ষায় কোম্পানিটির বেবি পাউডারে ক্ষতিকর অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতি না পাওয়ার কথা জানিয়েছিল।
কিন্তু গত পাঁচ মার্চ রাজস্থান ড্রাগস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন থেকে এক নোটিসে বলা হয়, তারা জনসন অ্যান্ড জনসনস বেবি শ্যাম্পুর দুইটি ব্যাচ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে; পরীক্ষার পর সেগুলোতে ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া গেছে। তবে কী ধরনের ক্ষতিকর উপদান পাওয়া গেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে জনসন অ্যান্ড জনসনস এর এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, তারা রাজস্থান থেকে যে প্রতিবেদন হাতে পেয়েছেন সেখানে বেবি শ্যাম্পুতে ‘ফর্মালডিহাইড’ পাওয়া গেছে; যেটা ‘কার্সিনোজেন’ নামেও পরিচিত। ভবন তৈরির জিনিসপত্র বানাতে যেটি ব্যবহার করা হয়।
তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমাদের হাতে যে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে আমরা তা মানছি না। “আমরা দ্ব্যার্থহীনভাবে আমাদের পণ্যের গুণগত মান সুরক্ষা করি এবং মানের প্রশ্নে বিশ্বের মধ্যে আমরাই সবচেয়ে বেশি নিশ্চয়তা দিয়ে থাকি।”
যেদুটি ব্যাচের বেবি শ্যাম্পুর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে সেগুলোর মেয়াদ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। ভারতের হিমাচল প্রদেশে কোম্পানিটির নিজস্ব কারখানায় সেগুলো উৎপাদিত।