24.4 C
Dhaka
September 23, 2024
Health

দাঁত সাদা করতে গিয়ে বড় ধরনের ক্ষতি করছেন না তো

দাঁত সাদা করতে গিয়ে বড় ধরনের ক্ষতি করছেন না তো

দাঁত সাদা করতে গিয়ে বড় ধরনের ক্ষতি করছেন না তো

দাঁতে হলদে ছোপ পড়ে গেলে সাদা ভাব ফিরিয়ে আনার জন্য অনেক সময় আমরা বাজারে নানা চলতি প্রোডাক্ট ব্যবহার করি। তারা গ্যারান্টিও দেয় যে দাঁতের রং একেবারে ধবধবে সাদা করে দেবে। কিন্তু আমরা জানতেও পারি না এর জেরে দাঁতের প্রোটিন স্তরের কতটা ক্ষতি হয়ে যায়। তিনটি নতুন গবেষণায় গবেষকরা দেখিয়েছেন, দাঁতকে সাদা করার জন্য এই ধরনের প্রোডাক্টে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ব্যবহৃত হয় যা দাঁতের বাইরে থাকা প্রোটিন পূর্ণ ডেন্টিন স্তরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই স্তর আদতে দাঁতের এনামেল স্তরের ঠিক নিচেই থাকে।

দাঁত সাদা করতে গিয়ে বড় ধরনের ক্ষতি করছেন না তো
দাঁত সাদা করতে গিয়ে বড় ধরনের ক্ষতি করছেন না তো

দাঁত তৈরি হয় তিনটি স্তরে। বাইরে থাকে এনামেলের স্তর। তার নিচে থাকে ডেন্টিনের স্তর, এবং কানেক্টিভ টিস্যু মাড়ির সঙ্গে তাকে বেঁধে রাখে। বেশিরভাগ গবেষণাতে দেখা গিয়েছে দাঁত সাদা করার জন্য যে ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহৃত হয় তা আসলে এনামেলের স্তরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কেলি কেন্নান ও তার সহ-গবেষকদল তিনটি স্তরের উপরে পরীক্ষা করে দেখিয়েছেন, দাঁতের ওপরে কোলাজেন নামক প্রোটিনের একটি স্তর থাকে।

হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড এবং এনামেল স্তরের মধ্যে দিয়ে এটি প্রবেশ করতে পারে। আগেও বিভিন্ন গবেষণায় দেখানো হয়েছে, ডেন্টিনের স্তরে থাকা কোলাজেন এই হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

গবেষণাটির মুখ্য লেখক কেলি কেন্নান বলেছেন, ‘‘আমরা গবেষণা করার সময় সব কটি দাঁত এর ওপরেই হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড এর প্রভাব খতিয়ে দেখেছি। তার পরেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গেছে।”

গবেষণার অংশ হিসেবে গবেষকরা দেখিয়েছেন যে, তিনটি স্তরে মুখের মধ্যে প্রোটিনের প্রলেপ থাকে যা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের ধাক্কায় টুকরো টুকরো হয়ে যায়। আরো গবেষণা করে দেখা গিয়েছে দাঁত সাদা করার যে কোনও প্রোডাক্টের মধ্যেই এত পরিমাণ হাইড্রোজেন পার অক্সাইড থাকে যে, তা মানুষের জন্মগত ভাবে বর্তমান কোলাজেন প্রোটিনকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে, বা ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিতে পারে।

Related posts

চুল ঝলমলে করতে লেবু ব্যবহারের উপায়

Lutfur Mamun

‘সারানো সম্ভব’ ওজন কমিয়ে ডায়াবেটিস

Lutfur Mamun

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে একটি করে ডিম প্রতিদিন

Lutfur Mamun

Leave a Comment