নুসরাত হত্যায় ব্যবহৃত বোরকা উদ্ধার
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ব্যবহার করা একটি বোরকা উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত টিম।
শনিবার দুপুরে পৌর শহরের সরকারি কলেজ সংলগ্ন ডাঙ্গি খাল থেকে বোরকাটি উদ্ধার করা হয়। পিবিআইয়ের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, নুসরাত হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার জোবায়েরকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পিবিআই। অভিযানের নেতৃত্ব দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম। জোবায়েরের দেয়া তথ্যানুযায়ী ডাঙ্গি খাল থেকে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত একটি বোরকা উদ্ধার করা হয়।
কিলিং মিশনে অংশ নেয়া পাঁচজনের মধ্যে ছিল জোবায়েরও। ইতিমধ্যে আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মামলাটির অন্যতম আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম জানিয়েছে- নুসরাতে মেঝেতে শুইয়ে ফেলার পর নুসরাতের ওড়না দুই টুকরো করে হাত ও পা বেঁধে ফেলেন জোবায়ের। জাভেদ তখন রাফির সারা শরীরে কেরোসিন ঢেলে দেয়। এরপর শাহাদাত হোসেন শামীমের চোখের ইশারায় জোবায়ের তার পকেট থেকে দিয়াশলাই বের করে কাঠি জ্বালিয়ে নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর পাঁচজনই সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে যায়। নামতে নামতেই তিনজন ছাত্র তাদের বোরকা খুলে শরীর কাপড়ের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলে। ছাত্রী দু’জন মাদ্রাসায় তাদের পরীক্ষার কক্ষে চলে যান। আর বাকি তিনজন নিজেদের মতো করে পালিয়ে যায়।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার ইতোমধ্যে এজাহারভুক্ত আট আসামিসহ ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে দেয়া তথ্যানুযায়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সদ্য বাতিল হওয়া মাদ্রাসা কমিটির সহ-সভাপতি রুহুল আমিনকে শুক্রবার বিকালে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পিবিআই।