24.4 C
Dhaka
September 23, 2024
International

অনাস্থা ভোটে টিকে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে

অনাস্থা ভোটে টিকে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে

অনাস্থা ভোটে টিকে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে

আস্থা ভোটে টিকে গেছে যুক্তরাজ্যের সরকার। আস্থা ভোটে টিকে যাওয়ায় সরকারে বহাল থাকছেন থেরেসা মে। থেরেসা মে’র সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর বুধবার সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩২৫ জন আইনপ্রণেতা থেরেসা মে’র সরকারের পক্ষে ভোট দেন। আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩০৬ জন।

এর আগে গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে সম্পাদিত ব্রেক্সিট চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। এতে বড় ধরনের ধাক্কা খায় থেরেসা মে’র সরকার। ব্রেক্সিট চুক্তি পাশে ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নিয়ে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন তাৎক্ষণিকভাবে থেরেসা মে’র সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সংসদের অন্যান্য বিরোধী দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটস, স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি, প্লাইড কামরি ও গ্রিন পার্টি এই অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন করে।

ফলাফল পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় থেরেসা মে বলেছেন, এখন তাঁর কাজ হবে ব্রেক্সিটের পক্ষে জনগণের দেওয়া রায় বাস্তবায়নে চেষ্টা অব্যাহত রাখা। ব্রেক্সিটের অচলাবস্থার সমাধানে তিনি বিরোধী দলগুলোর নেতাদের তাঁর সঙ্গে আলাদা আলাদা (ওয়ান টু ওয়ান) বৈঠকের আমন্ত্রণ জানান। বুধবার রাত থেকেই এ কাজ শুরু করেছেন তিনি।

তবে বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন শর্ত দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যে কোনো আলোচনায় বসার আগে চুক্তিবিহীন সম্ভাবনার কথা নাকচ করতে হবে।

ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের ১১৮ জন আইনপ্রণেতা সরকারের ব্রেক্সিট চুক্তির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। ১০টি আসন নিয়ে সরকারের শরিক ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন্স্টি পার্টিও (ডিইউপি) ব্রেক্সিট চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু আস্থা ভোটে এরা সকলেই থেরেসা মে’র সরকারের প্রতি সমর্থন দেন। যে কারণে আস্থা ভোটে উতরে গেছে থেরেসা মে’র সরকার।

এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ এর সাংসদরা থেরেসা মে’র নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা এনেছিলেন। দলীয় ওই আস্থা ভোটেও পার পেয়ে যান থেরেসা মে।

প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে সম্পাদিত ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে নানা বিরোধ রয়েছে। শরিক দল ডিইউপিও ওই চুক্তির বিরোধী। কিন্তু চুক্তির বিপক্ষে অবস্থান নিলেও সরকারের পক্ষে তাদের আস্থা অবিচল। তারা চান না থেরেসা মে’র সরকারের পতন হোক এবং ক্ষমতাচ্যুত হোক কনজারভেটিভ দল। আর ক্ষমতাসীনরা এককাট্টা থাকলে বিরোধীদের পক্ষে অনাস্থা ভোটে বিজয়ী হওয়া সম্ভব নয় বলে আগেই অনুমেয় ছিল।

Related posts

বন্দুক হামলায় বেশ কিছু শিক্ষার্থী নিহত ব্রাজিলে স্কুলে

Lutfur Mamun

জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে ৩ তদন্ত কমিটি ||

Lutfur Mamun

৩০০ টাকা মজুরীর দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চালিয়ে যাবে চা শ্রমিকরা ||

Lutfur Mamun

Leave a Comment