আ. লীগ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ উন্মুক্ত রাখে
আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাউকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেবে না আওয়ামী লীগ।
এই পদ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখবে ক্ষমতাসীন দলটি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোনো দলীয় প্রার্থী না করার কথাই ভাবছি। এই ব্যাপারে আমরা মোটামুটি একমত হয়েছি যে, এই দুই পদে দলীয় প্রতীক দেব না। তবে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকেই আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি।”
স্থানীয় সরকার (উপজেলা) (সংশোধন) বিল-২০১৫ এ বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুটি ভাইস চেয়ারম্যান (সাধারণ ও সংরক্ষিত) পদের নির্বাচনের জন্য প্রার্থীকে রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হবে।
আইনটি পাস হওয়ার পর ২০১৭ সালের মার্চে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ভোট হয় উপজেলায়। ওই বছর ৬ মার্চ প্রথম সিলেটের ওসমানীনগর, খাগড়াছড়ির গুঁইমারা ও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হয় দলীয়ভাবে।
এর দুই বছর পর দেশজুড়ে উপজেলা পরিষদের ভোট হবে। পঞ্চম উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে ভোট ৮ মার্চ অথবা ৯ মার্চ করার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৯২টি উপজেলা পরিষদ রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালের মার্চ-মে মাসে ছয় ধাপে এর অধিকাংশগুলোতে ভোট হয়েছিল।
আইনে মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা থাকায় এই নির্বাচন হচ্ছে।
১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে একদিনেই ভোট হয়েছিল। ২০১৪ সালে ছয় ধাপে ভোট করেছিল তৎকালীন ইসি।
ইসি সচিব এর আগে জানিয়েছিলেন, আট বিভাগের উপজেলাগুলোতে চার দিনে ভোটগ্রহণ হবে। বাকিগুলোতে ভোট হবে পঞ্চম ধাপে।
সদর উপজেলাগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।