24.4 C
Dhaka
May 17, 2025
Bangladesh

এম এ কাদের গ্রেপ্তার ৯১৯ কোটি টাকা পাচারের মামলায়

এম এ কাদের গ্রেপ্তার ৯১৯ কোটি টাকা পাচারের মামলায়

এম এ কাদের গ্রেপ্তার ৯১৯ কোটি টাকা পাচারের মামলায়

৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বিদেশে পাচারের মামলায় ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ কাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
ক্রিসেন্ট গ্রুপের তিনটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই অর্থপাচারের অভিযোগে বুধবার রাজধানীর চকবাজার থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অধিদপ্তরের মহাব্যবস্থাপক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, মুদ্রাপাচারের প্রমাণ পেয়ে ক্রিসেন্ট গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদের চার কর্মকর্তাসহ জনতা ব্যাংকের ১৩ জন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর কাকরাইল থেকে ক্রিসেন্ট ট্যানারির চেয়ারম্যান এমএ কাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কাদের ছাড়াও রিমেক্স ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিটুল জাহান (মিরা), ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতানা বেগম মনিকে মামলার আসামি করা হয়েছে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ক্রিসেন্ট গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধাপে ৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস ৪২২.৪৬ কোটি টাকা, রিমেক্স ফুটওয়্যার ৪৮১.২৬ কোটি টাকা ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ ১৫.৮৪ কোটি টাকা অর্থাৎ মোট ৯১৯.৫৬ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছে বলে শুল্ক গোয়েন্দাদের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।

তিন প্রতিষ্ঠানের অর্থপাচারের হিসাব

শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জনতা ব্যাংকের ইমামগঞ্জ কর্পোরেট শাখা ক্রিসেন্ট লেদারের রপ্তানি বিলের পরিবর্তে যে অর্থ দিয়েছে তার মধ্যে ৪২২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ফেরত আসেনি। তারা ফেরত পেয়েছে মাত্র ৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

একইভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির ওই শাখা থেকেই রিমেক্স ফুটওয়্যারের রপ্তানি বিলের পরিবর্তে দেওয়া অর্থের ৪৮১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ফেরত আসেনি। ব্যাংকটি ফেরত পেয়েছে মাত্র চার কোটি ১১ লাখ টাকা।

আর ব্যাংকের ওই শাখা থেকে ক্রিসেন্ট ট্যানারিজের রপ্তানি বিলের পরিবর্তে দেওয়া ১৫ কোটি ৮৪ লাখ ফেরত আসেনি।

এই পুরো অর্থপাচারের ঘটনায় জনতা ব্যাংক ইমামগঞ্জ কর্পোরেট শাখার কর্মকর্তারা ছাড়াও ওই ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের এফটিডির (এক্সপোর্ট) তৎকালীন ডিজিএম ও জিএম এবং বিভাগীয় কার্যালয়ের জিম জড়িত ছিলেন বলে শুল্ক গোয়েন্দাদের তথ্য।

মামলায় জনতা ব্যাংকের জিএম মো. রেজাউল করিম, সাবেক জিএম মো. জাকির হোসেন (বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি) ও ফখরুল আলম (ডিএমডি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক), ডিজিএম কাজী রইস উদ্দিন আহমেদ, এ কে এম আসাদুজ্জামান ও মো. ইকবাল, এজিএম মো. আতাউর রহমান সরকার, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. খায়রুল আমিন ও মো. মগরেব আলী, প্রিন্সিপাল অফিসার মুহাম্মদ রুহুল আমিন, সিনিয়র অফিসার মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মনিরুজ্জামান ও মো. সাইদুজ্জাহানকে আসামি করা হয়েছে।

এদের মধ্যে এজিএম আতাউর থেকে পরের সবাইকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

Related posts

আজ বাংলা পত্রিকার সংবাদ ১৬-০৪-২০২০ || Today is the news of Bengali magazine _ 2020 ||

Lutfur Mamun

করোনাভাইরাস আপডেট ও সর্বশেষ খবর || মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১, ৩০ চৈত্র ১৪২৭ ||

Lutfur Mamun

আইজিপি মৃতদেহ হস্তান্তরই এখন বড় চ্যালেঞ্জ

Lutfur Mamun

Leave a Comment