গ্রেফতার হলো ট্রাম্পের সহযোগী
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোগী ও মিত্র রজার স্টোনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। ২০১৬ সালেরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের আলামত ধ্বংস ও অন্যান্য গুরুতর অভিযোগে শুক্রবার ফ্লোরিডা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এফবিআইর হাতে গ্রেফতার ট্রাম্পের এই সহযোগীকে শুক্রবার আরো পরের দিকে ফোর্ট লডারডেল শহরের আদালতে তোলা হবে। রজার স্টোনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্ম-প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা, মিথ্যা বিবৃতি ও প্রত্যক্ষদর্শীর আলামত ধ্বংসের অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০১৬ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার সহযোগিতায় বিরোধী ডেমোক্র্যাট দলীয় কর্মকর্তাদের ই-মেইল হ্যাকিংয়ের ঘটনার সঙ্গে এসব অভিযোগের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া ডেমোক্র্যাট দলীয় ই-মেইলের তথ্য-উপাত্ত ফাঁস করে উইকিলিকস।
সেই সময় বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর গোপন নথি ফাঁস করে আলোড়ন সৃষ্টি করে বিকল্পধারার অলাভজনক সংবাদমাধ্যম উইকিলিকস।
২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনী প্রচারণা শিবিরের চেয়ারম্যান জন পোডেস্টার ই-মেইল ছিল হ্যাকারদের টার্গেট। এই হ্যাকিংয়ের ব্যাপারে আগে থেকেই জানতেন ট্রাম্পের সহযোগী স্টোন।
তদন্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, ই-মেইল প্রকাশের আগে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন স্টোন। সেই সময় অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে এই যোগাযোগকে পুরোপুরি আইনি বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
রাশিয়া এবং ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা শিবির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগের ব্যাপারে বর্তমানে তদন্ত করছেন স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুয়েলার। শুরু থেকেই তিনি স্টোনের নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে আসছিলেন।
ওই বছরই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানায়, নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে হ্যাকিংয়ের চেষ্টা করেছিল রাশিয়ার হ্যাকাররা। সেই সময় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সাইবার হামলার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভূয়া সংবাদও ছড়ানো হয়। তবে ক্রেমলিন বরাবরই মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।