ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের ১৫টি মামলার স্থগিত করেছে উচ্চ আদালত।
হাই কোর্টের এই আদেশের ফলে এখন সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টার মুক্তির আশা দেখছেন তার আইনজীবীরা।
গত বছরের অক্টোবরে একাত্তর টেলিভিশনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে আলোচক মাসুদ ভাট্টিকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার পর বেশ কয়েকটি মামলা হয় মইনুলের বিরুদ্ধে। তখন গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার ১৫টি মামলার কার্ক্রম স্থগিত করেন।
আদালতে মইনুলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এ কে খান উজ্জল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খুরশীদুল আলম।
খন্দকার মাহবুব সাংবাদিকদের বলেন, “আদালত আজকে বলেছেন, যার মানহানি হয়েছে অর্থাৎ যিনি সংক্ষুব্ধ কেবল তিনিই এ মামলা করতে পারবেন। তৃতীয় কোনো পক্ষ বা আর কারও এ মামলা করার এখতিয়ার নেই। ফলে মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কটি মামলায় জামিনও দিয়েছেন।
“আমি মনে করি তার মুক্তিতে বাধা নেই,” বলেন তিনি।
এদিকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খুরশীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ময়মনসিংহের দুটি ও গাজীপুরের একটি মামলায় এখনও জামিন না হওয়ায় আপাতত মুক্তি মিলছে না মইনুল হোসেনের।”
তিনি বলেন, “আজ যে ১৫টি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে, এর মধ্যে ১১টি মামলায় রুল জারির পাশাপাশি ছয় মাসের জামিন পেয়েছেন তিনি। বাকি চারটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না থাকায় মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করেছেন আদালত।”
এর আগে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর হাই কোর্টের এই বেঞ্চ থেকেই রংপুর ও জামালাপুরে করা মানহানির দুই মামলায় ছয় মাসের জামিন নেন মইনুল। সেদিন মামলা দুটির কার্যক্রমও স্থগিত করেছিল আদালত।
অর্থাৎ, মানহানির মোট ২০ মামলায় ১৭ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করার পাশাপাশি ১৩ মামলায় মইনুল হোসেনকে জামিন দিয়েছে আদালত।