যে খাবারগুলো চিনি ছাড়া আপনার ব্লাড সুগার বাড়াতে পারে
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খাদ্যভ্যাস নিয়ন্ত্রণে রাখাটা খুবই জরুরী। বিশেষ করে তাদেরকে চিনি ও শর্করা জাতীয় খাবারের বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়। কারণ অতিরিক্ত শর্করা খেলে ব্লাড সুগার বেড়ে যেতে পারে, আবার খাওয়ায় অবহেলা করলে ব্লাড সুগার হুট করে কমেও যেতে পারে। দুই ক্ষেত্রেই বেশকিছু স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে। এসব সমস্যা এড়িয়ে চলতে খাদ্যভ্যাসের দিকে নজর দিন। হ্যাঁ, শর্করা ও মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কিন্তু বেশকিছু নিরীহ খাবারও আপনার ব্লাড সুগার বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব খাবারের বিষয়ে সতর্ক থাকুন-
১) কফি
কফি অস্বাস্থ্যকর কোনো পানীয় নয়। তা পান করাটা ডায়াবেটিস হবার ঝুঁকি কমাতে পারে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। কিন্তু কফিতে যদি আপনি সুইটনার, ক্রিমার ও বিভিন্ন ফ্লেভারিং যোগ করেন তাহলে ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি দেখা যায়। এমনকি উচ্চ মাত্রায় ক্যাফেইন নিজেই ব্লাড সুগার বাড়াতে পারে। যে কোনো রকমের কফি পান করার পর ব্লাড গ্লুকোজ মেপে দেখুন, তাহলে আপনিই বুঝতে পারবেন তা আপনার শরীরে কী প্রভাব রাখছে।
২) ইনস্ট্যান্ট ওটমিল
ওজন কমাতে, চর্বি দূর করতে এমনকি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই ওটস বা ওটমিল খাওয়ার কথা বলেন। ওট আসলেই স্বাস্থ্যকর, কারণ এতে অনেক ফাইবার থাকে। কিন্তু প্রক্রিয়াজাত ইনস্ট্যান্ট ওটমিলে ফ্লেভারিং এমনকি চিনিও থাকতে পারে। এতে নিঃসন্দেহে বাড়বে ব্লাড সুগার। নিরাপদে থাকতে সাধারণ ওটস খান, যেমন স্টিল-কাট ওটস।
৩) লাল চাল
ডায়াবেটিসের রোগীদের হোল গ্রেইন খেতে বলা হয়। এতে অনেকেই সাদা চালের পরিবর্তে লাল চাল খেতে শুরু করেন। কিন্তু লাল চাল বলেই তা প্লেট ভরে খাওয়া যাবে না। আধা কাপ ভাত, এর সাথে সবজি ও ডাল খেতে পারেন। অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে সাদা চাল বা লাল চাল- দুই ধরণের ভাতই আপনার ব্লাড সুগার বাড়াবে।
৪) চাইনিজ খাবার
ডায়াবেটিস রোগীরও অনেক সময়ে মুখরোচক খাবার খেতে ইচ্ছে হয়। সে সময়ে চাইনিজ খাবার খাওয়াটা কিন্তু মোটেই ভালো নয়। চাইনিজ খাবারে বেশি তেল ও লবণের পাশাপাশি প্রচুর চিনিও থাকতে পারে। সাধারণ ফ্রায়েড রাইস, স্যুপ বা সবজিতেও চিনি থাকে। এ কারণে এ কুইজিনের খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।
৫) স্টেক
শুধু স্টেক নয়, বরং চর্বিযুক্ত যে কোনো রেড মিট ব্লাড সুগার বাড়ানোর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এসব মাংসে থাকা উচ্চ মাত্রায় চর্বি ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন করে ফেলে।
৬) দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
দুধ, দই, পনির- এ ধরণের খাবারগুলো ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের খুবই ভালো উৎস। কিন্তু এসব খাবার ব্লাড সুগার বাড়াতে পারে, এর পাশাপাশি হৃদস্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করতে পারে। এসব সমস্যা এড়াতে চিনি ছাড়া লো ফ্যাট দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেতে পারেন।