24.4 C
Dhaka
April 17, 2025
Health

যে বাদাম ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী

যে বাদাম ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী

যে বাদাম ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী

বাদামে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম এবং ফ্যাটি অ্যাসিড। প্রতিদিন একমুঠো বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে, তবে সব ধরনের বাদাম আপনার জন্য উপকারী নাও হতে পারে। আপনাকে কেবল সেই বাদামগুলো গ্রহণ করতে হবে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিছু বাদাম অন্যগুলোর চেয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। নিচে দেওয়া হলো পাঁচ রকমের বাদাম যা আপনার জন্য উপকারী-

১) কাজুবাদাম: ২০১১ সালের এপ্রিলে মেটাবোলিজম জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাজুবাদাম ডায়াবেটিক রোগীদের গ্লুকোজ স্তর পরিচালনা করে। উপাদানটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস করে, যাকে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের জন্য মূল কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি আপনার প্রতিদিনের ম্যাগনেসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে।

লবণমুক্ত কাঁচা কাজু বাদাম বেশি কার্যকরী। রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেতে পারেন।

২) আখরোট: আখরোটে উচ্চ মাত্রার ক্যালোরি থাকে কিন্তু শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে এটি কোনো ভূমিকা রাখে না। এক গবেষণায় দেখা গেছে, আখরোট খেলে এক ধরনের পূর্ণতা অনুভব করা যায়। এটি ক্ষুধা হ্রাস করে। নিয়মিত আখরোট খেলে ওজন কমে এবং ইনসুলিনের মাত্রা হ্রাস করে।

ভালো ফল পেতে গেলে কাঁচা আখরোট খেতে হবে।

৩) পেস্তা বাদাম: পেস্তা বাদামে রয়েছে প্রচুর অ্যানার্জি। এটি প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। এতে ফ্যাটও রয়েছে যা আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণতা দেবে।

২০১৪ সালে রিভিউ অব ডায়াবেটিক স্টাডিজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, পেস্তা বাদাম ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনে।

লবণযুক্ত পেস্তা বাদাম এড়িয়ে চলা উচিত। ভালো ফল পেতে আপনি প্রতিদিন ফলের সালাদের সঙ্গে ৩০টি পেস্তা বাদাম খেতে পারেন।

৪) চিনাবাদাম: চিনাবাদাম প্রোটিন ও ফাইবারের একটি বড় উৎস। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটি উপকারী। প্রতিদিন চিনাবাদাম খেলে তা কেবল ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করবে না, হৃদরোগের ঝুঁকিও কমাবে। ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং প্রথম পর্যায়ের ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।

প্রতিদিন ২৮-৩০টি কাঁচা চিনাবাদাম খেতে পারেন।

৫) হিজলি বাদাম: নিয়মিত হিজলি বাদাম খেলে রক্তচাপ নিচে চলে আসে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এতে অন্যান্য বাদামের তুলনায় চর্বির পরিমাণ কম। এটি খেলে তাছাড়া রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা বা ওজনে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না।

প্রতিদিন একমুঠ হিজলি বাদাম খেতে পারেন।

Related posts

হৃদযন্ত্রের জন্য ডিম কি ঝুঁকিপূর্ণ ?

Lutfur Mamun

মায়ের দুধ শিশুকে কত বছর পান করানো উচিত

Lutfur Mamun

বেশি মেধাবী হয় সেই শিশুরা দুপুরের পরে ঘুমায় যারা

Lutfur Mamun

Leave a Comment