24.4 C
Dhaka
September 23, 2024
Bangladesh

গণমাধ্যম কর্মীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা, বাঁচালেন পুলিশ কর্তা

গণমাধ্যম কর্মীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা, বাঁচালেন পুলিশ কর্তা

গণমাধ্যম কর্মীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা, বাঁচালেন পুলিশ কর্তা

চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের এক নারীকর্মী কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বুধবার ভোর ৬টায় রাজধানীর মহাখালী এলাকার আমতলী ক্রসিংয়ে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় তাকে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মো. আলমগীর (২৪) নামে এক যুবক কুপ্রস্তাব দেয়। তিনি রাজি না হওয়ায় সড়কেই তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে ওই বখাটে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়, ওই নারী গণমাধ্যম কর্মীকে পিটিয়ে জখম করে বখাটে আলমগীর।

এ সময় আশপাশে অনেক সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশাচালক থাকলেও কেউই ওই তরুণীকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি। অনেকেই এই দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখছিলেন, আবার কেউ কেউ দেখে এড়িয়ে চলে যান।

তখনই রাতের ডিউটি শেষে অফিস থেকে গাড়িতে বাড়ি ফিরছিলেন ডিএমপির ক্যান্টনমেন্ট জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) তাপস কুমার দাস। এ সময় ওই তরুণীর চিৎকার শুনে এগিয়ে যান তিনি। তরুণীকে উদ্ধার করেন এবং হাতেনাতে আটক করেন বখাটে যুবককে।

এ বিষয়ে এডিসি তাপস কুমার দাস বলেন, গুলশান ডিভিশনের ছয়টা থানার নাইট রাউন্ডে ছিলাম। ভোরে আমতলী দিয়ে যাওয়ার সময় এক তরুণীর চিৎকার শুনতে পাই, দেখি আলমগীর নামে এক ছেলে ওই তরুণীকে লাঠি দিয়ে পিটাচ্ছে। তখন বডিগার্ড ও ড্রাইভারসহ আমি নেমে দৌড়ে আলমগীরকে ধরে ফেলি। ওই নারীর ঠোঁট দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল, তাকে দ্রুত কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠাই।

এ ঘটনায় বনানী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আলমগীর নামের এক বখাটে ওই নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে ও তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করতে থাকে। ওই সময় এডিসি তাপস কুমার দাস তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান এবং বনানী থানা পুলিশ আলমগীরকে গ্রেফতার করে।

আসামি মো. আলমগীর কড়াইল বস্তিতে মাছের ব্যবসা করে। বস্তির বৌবাজারে তার বাসা। গ্রামের বাড়ি শেরপুর। আলমগীরের পিতার নাম আশরাফ আলী।

Related posts

অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন দুর্নীতি মাদকমুক্ত দেশ বিনির্মাণের এগিয়ে যাবো

Lutfur Mamun

ওবায়দুল কাদের দেশ-বিদেশে চিঠি দিয়ে ব্যর্থ বিএনপি

Lutfur Mamun

করোনাভাইরাস আপডেট ও সর্বশেষ খবর || রোববার, ০৪ এপ্রিল ২০২১ ২১ চৈত্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ ||

Lutfur Mamun

Leave a Comment