বড় হারই সঙ্গী হলো ঘরের মাঠের চিটাগংয়ের
এক ম্যাচে কয়েকটি রেকর্ড। বিপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ গড়লো রংপুর রাইডার্স। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একই ইনিংসে দুইজন সেঞ্চুরি হাঁকালেন। এমন এক ম্যাচে রংপুর কি করে হারে?
হারার প্রশ্নই আসে না। বরং পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা চিটাগং ভাইকিংসকে দুমড়ে মুচড়েই জয় তুলে নিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। ঘরের মাঠে খেলতে নেমে মুশফিকের চিটাগং দেখল ৭২ রানের বড় হার।
লক্ষ্য ২৪০ রানের। টি-টোয়েন্টিতে এমন লক্ষ্য পার করার চিন্তা করাও তো কঠিন। ফলে যা হবার তাই হলো, রানের পাহাড়ে চাপা পড়েই ম্যাচটা শেষ করতে হলো চিটাগংকে।
চিটাগংয়ের সান্ত্বনা একটাই। বিদেশি দুই সেঞ্চুরিয়ানের জবাবে বিদেশি নন, লড়েছেন আমাদের স্বদেশি ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলি। ৪৮ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৭৮ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।
তবে সঙ্গীদের সাহায্যও তো পেতে হবে! বাকিদের কেউই তেমন কিছু করতে পারলেন না। ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ১২ বলে খেলেন ২০ রানের ইনিংস। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ১১ বলে করেন ২২।
এর আগে, দুই ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স হেলস আর রাইলি রুশোর বিধ্বংসী দুই সেঞ্চুরিতে ভর করে রংপুর গড়ে ৪ উইকেটে ২৩৯ রানের পুঁজি। যা কিনা বিপিএলের ইতিহাসেরই সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
মুশফিকুর রহিম আফসোস করতেই পারেন-টস জিতে কেন যে রংপুরকে ব্যাটিংয়ে পাঠাতে গেলাম! যদিও শুরুতে হাসিটা ছিল চিটাগংয়েরই। মাত্র ২ রান করে আবু জায়েদের শিকার হয়ে ফেরেন ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল।
তবে চিটাগংয়ের হাসি দুঃখে পরিণত হতে সময় নেয়নি। দ্বিতীয় উইকেটে মাত্র ৭৮ বলে ১৭৬ রানের অবিশ্বাস্য এক জুটি গড়েন হেলস আর রুশো।
মারকাটারি ব্যাটিংয়ে ১৫তম ওভারের চতুর্থ বলে এসে সেঞ্চুরি পূরণ করেন হেলস। পরের বলেই সিকান্দার রাজাকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ হন রংপুরের এই ওপেনার। ৪৮ বলে ১১ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় কাটায় কাটায় ১০০ রান করেন তিনি।
রানের এই গতির মাঝে দাঁড়াতে পারেননি এবি ডি ভিলিয়ার্স। ১ রানেই তাকে খালিদ আহমেদের ক্যাচ বানান আবু জায়েদ রাহি। মোহাম্মদ মিঠুনও ১৫ রানের বেশি যেতে পারেননি।
তবে হেলসের দেখানো পথ ধরে বিধ্বংসী চেহারায়ই সেঞ্চুরি তুলে নেন রুশো। ৫১ বলে ১০০ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন তিনি, যে ইনিংসটি প্রোটিয়া এই ব্যাটসম্যান সাজান ৮ বাউন্ডারি আর ৬ ছক্কায়। তার সঙ্গে ৪ বলে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন নাহিদুল ইসলাম।